নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের চাঞ্চল্য সৃষ্টকারী ০৩ (তিন) স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার অভিযোগের ১০ ঘন্টার মধ্যে ফুসলিয়ে কৌশলে অপহরণের ঘটনায় জড়িত ০৪ যুবককে আটকসহ নিখোঁজ ০৩ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে জীবননগর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, ১। মোঃ শিহাব(১৮), পিতা-আব্দুল মুমিন, ২। মোঃ নাঈম(১৯), পিতা-আব্দুস সালাম, উভয় সাং-মনোহরপুর মাঝেরপাড়া, থানা-জীবননগর, জেলা-চুয়াডাঙ্গাদ্বয়সহ সহযোগী ৩। মোঃ লিখন হোসেন(১৬), পিতা-মোঃ কালাম হোসেন, ৪। ইয়াসিন হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ ভাসান আলী, উভয় সাং-ঝাঝরি, বেগমপুর, থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জীবননগর থানাধীন কাশিপুর গ্রামের মোঃ বকুল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও মাহাতাব মোল্লা বুধবার (৩ মে) জীবননগর থানায় এসে লিখিতভাবে জানান যে, তাদের ০৩ তিন জনের স্কুল পড়ুয়া কন্যা ১। জামিলা খাতুন(১৩), ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী, ২। মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন(১২), ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী এবং ৩। মোছাঃ মরিয়ম খাতুন(১২), ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী, গত বুধবার (৩ মে) সকাল ০৯ টার সময় কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়। বিদ্যালয়ের ছুটির সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও তারা বাড়ীতে না ফেরায় বাড়ীর লোকজন দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকে। সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোজাখুজি করে না পাওয়ায় ০৩ (তিন) জন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর একসাথে নিখোঁজ হওয়া সংক্রান্তে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ সহ গনমাধ্যমে প্রচারণা শুরু হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে থানায় এসে লিখিতভাবে জানালে জীবননগর থানায় সাধারণ ডাইরী নং-১৪৬, তারিখ-০৩/০৫/২৩ লিপিবদ্ধ করা হয়।
তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাসির উদ্দীন মৃধা তাৎক্ষনিক চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার এবং সহকারী পুলিশ সুপার, দামুড়হুদা সার্কেলকে অবহিত করে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় সহায়তায় এসআই(নিঃ) এসএম রায়হান, এসআই(নিঃ) মোঃ নাহিরুল ইসলাম এবং অন্যান্য অফিসার ফোর্সদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা উল্লেখিত স্কুল পড়ুয়া তিনজন ছাত্রীকে বুধবার দিবাগত রাতে দর্শনা থানাধীন ঝাঝরী বেগমপুর গ্রামের মোহন মিয়ার বসত বাড়ী হতে উদ্ধার করা করেন এবং নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত ৪ যুবককে আটক করে।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিকল্পনায় উক্ত ভিকটিম ০৩ (তিন) জনকে ফুসলিয়ে কৌশলে অপরহন করে বৃহস্পতিবার ৪ মে সকালে তারা ঢাকায় নিয়ে অজানা-অচেনা জায়গায় গোপনে অবস্থান করবে যাতে আত্মীয়স্বজন কিংবা পুলিশ তাদের কোন সন্ধান না পায়।
স্থানীয় সাক্ষ্য প্রমাণে শিহাব একজন লম্পট, চরিত্রহীন প্রকৃতির এবং সে ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে করে। আটকদের অসৎ ও অনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের পূর্বেই জীবননগর থানা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কৌশলে অভিযান চালিয়ে ভিকটিমদেরকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।